শেয়ার মার্কেট কী?
শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ শুরুর আগে এর ইতিহাস জানুন
তখন প্রায় ১৮৭০ দশকের কথা। যারা দালাল ছিলেন, তারা মুম্বাইয়ের কোলাহলপূর্ণ জায়গায় একটি বড় বটগাছের নিচে রোজ সবাই মিলে জমে যেতেন। সেখানে তারা বিভিন্ন ব্যবসার কাগজপত্র নিয়ে হিসাব-নিকাশ করতেন।
তারা দাম তুলতেন, নিলাম যেরকম হয় সেভাবে। ওই গাছের তলায় তারা কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা করতেন অফলাইনে, কাগজ-কলমে। এভাবেই ধীরে ধীরে শেয়ার বাজার তৈরি হতে শুরু করে।
শেয়ার মার্কেটের প্রধান উপাদান
স্টক এক্সচেঞ্জ
NSE,BSE
ব্রোকার
বিনিয়োগকারীর এবং এক্সচেঞ্জের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী।
ইন্ডেক্স
Nifty 50, Sensex, Bank Nifty
স্টক এক্সচেঞ্জ
ব্রোকার
বিনিয়োগকারীর এবং এক্সচেঞ্জের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী।
ইন্ডেক্স
Nifty 50, Sensex, Bank Nifty
শেয়ার মার্কেটের কাজের ধাপ
ব্রোকার, ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট, ও খরচের বিস্তারিত
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ শুরু করতে হলে প্রথমেই ব্রোকারের মাধ্যমে একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। ব্রোকার হলো সেই মধ্যস্থতাকারী যারা আপনাকে শেয়ার কেনাবেচার সুযোগ করে দেয়। চলুন, সহজ ভাষায় পুরো প্রক্রিয়াটা জেনে নিই!
সাধারণ মানুষ যখন একটা ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খোলে, তার পর তারা স্টক মার্কেটে যে ব্রোকারের অ্যাকাউন্ট খুলেছে, সেই ব্রোকারের ড্যাশবোর্ড দেখে এবং সেখানে ভারতের বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার ও তার দাম দেখতে পায়। আর সেই জায়গা থেকে তারা একটি শেয়ার সিলেক্ট করে buy/sell অপশন দেখতে পায় এবং যখন একটি শেয়ার কেনে, তখন ব্রোকার ও সরকার দু’জনে একটা চার্জ করে — সেটা ৩০ টাকার মতো হয়। আর যখন বিক্রি করে, তখনও ৩০ টাকা চার্জ করে। মোট buy ও sell-এর চার্জ মিলে হয় ৬০ টাকা।
সাধারণ মানুষ যখন একটা ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খোলে, তার পর তারা স্টক মার্কেটে যে ব্রোকারের অ্যাকাউন্ট খুলেছে, সেই ব্রোকারের ড্যাশবোর্ড দেখে এবং সেখানে ভারতের বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার ও তার দাম দেখতে পায়। আর সেই জায়গা থেকে তারা একটি শেয়ার সিলেক্ট করে buy/sell অপশন দেখতে পায় এবং যখন একটি শেয়ার কেনে, তখন ব্রোকার ও সরকার দু’জনে একটা চার্জ করে — সেটা ৩০ টাকার মতো হয়। আর যখন বিক্রি করে, তখনও ৩০ টাকা চার্জ করে। মোট buy ও sell-এর চার্জ মিলে হয় ৬০ টাকা।
আইপিও (Initial Public Offering): নতুন শেয়ার ইস্যু
সেকেন্ডারি মার্কেট: যেখানে শেয়ার কেনাবেচা হয়
-
লেনদেনের জন্য ব্রোকারের ভূমিকা
শেয়ার কেনাবেচার জন্য একটি ব্রোকারের সাহায্য নিতে হয়। কিছু জনপ্রিয় ব্রোকার হলো:- Zerodha
- Angel Broking
- Upstox
- Groww
ব্রোকাররা স্টক এক্সচেঞ্জের সাথে আপনার সংযোগ স্থাপন করে, যাতে আপনি সহজেই অনলাইনে শেয়ার কেনাবেচা করতে পারেন। ব্রোকার কী করে আপনি ধরুন আজকে একটা শেয়ার কিনে ইন্ট্রাডে ট্রেডিং করে লাভ বা লস করেছেন সেই হিসাব প্রতিদিন আপডেটেড দেয় আপনার ইমেইল আইডিতে, পরের দিন কত টাকা তারা চার্জ করেছে, গভর্নমেন্ট কত টাকা নিয়েছে সেইসব ডিটেল ইমেইলে পাঠিয়ে দেয়।
ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলা
ব্রোকারের মাধ্যমে আপনাকে একটি ডিম্যাট (Demat) অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। এটি হলো ডিজিটাল অ্যাকাউন্ট, যেখানে আপনার কেনা শেয়ারগুলি সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষণ করা হয়।
লেনদেনের খরচ (Brokerage Charges)
শেয়ার কেনাবেচায় ব্রোকাররা নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ নেয়। উদাহরণস্বরূপ:Buy/Sell চার্জ
সাধারণত প্রতি লেনদেনে ₹20 ফি লাগে।সর্বমোট খরচযদি আপনি একবার শেয়ার কিনে ও বিক্রি করেন, তবে মোট চার্জ হবে ₹40 (₹20 buy + ₹20 sell)।বার্ষিক মেইন্টেন্যান্স চার্জ (AMC)
কিছু ব্রোকার বছরে ₹300-₹500 এর মতো ফি নেয় ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট মেইন্টেন করার জন্য।
উদাহরণ:
ধরুন, আপনি Zerodha-তে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। যদি আপনি ₹10,000 মূল্যের শেয়ার কেনেন, তাহলে:
- Buy চার্জ: ₹20
- Sell চার্জ: ₹20
- সর্বমোট লেনদেন চার্জ: ₹40
এর বাইরে, বছরে একবার মেইন্টেন্যান্স চার্জ দিতে হতে পারে। তবে অনেক ব্রোকার নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রথম বছর ফ্রি অফারও দেয়
বিনিয়োগের সুবিধা
- দীর্ঘমেয়াদি লাভ: শেয়ার মার্কেটে সময়ে সময়ে ভালো লাভ হতে পারে।
- লভ্যাংশ: প্রতিদিন কেনাবেচা করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
- মালিকানা: শেয়ার কিনলে আপনি কোম্পানির ছোট অংশের মালিক হয়ে যান।
ঝুঁকি এবং সতর্কতা
- বাজার ওঠানামা করে।
- অর্থনৈতিক পরিবর্তন হতে পারে।
- সঠিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিনিয়োগ করা উচিত।
শেয়ার মার্কেট শেখা ও বিশ্লেষণের ধরণসমূহ
- টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস শেখা শুরু করুন।
- ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস শেখা শুরু করুন।
শেয়ার মার্কেট শুরু করার জন্য টিপস
- সঠিক ব্রোকার নির্বাচন করুন।
- বাজার বিশ্লেষণ শেখা শুরু করুন।
- ছোট বিনিয়োগ দিয়ে শুরু করুন।
১) কীভাবে বাস্তবে বিনিয়োগ শুরু করবেন
প্রথমে একটি বিশ্বাসযোগ্য ব্রোকার প্ল্যাটফর্ম (Zerodha / Groww / Upstox) নির্বাচন করুন।
অনলাইনে KYC সম্পন্ন করে ডিম্যাট ও ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলুন।
বাজারের নিয়ম-কানুন বুঝতে প্রথম কয়েক সপ্তাহ শুধু মার্কেট পর্যবেক্ষণ করুন।
খুব ছোট অঙ্কে (₹500–₹1000) ব্লুচিপ কোম্পানির শেয়ার দিয়ে শুরু করুন।
ট্রেড না করে প্রথমে ইনভেস্টিং শেখার অভ্যাস তৈরি করুন।
২) কোন রিসোর্স বা টুলগুলো সবচেয়ে কাজে লাগে
Moneycontrol: কোম্পানির খবর, বিশ্লেষণ ও বাজার আপডেট।
TradingView: চার্ট দেখা, ক্যান্ডেল স্টাডি ও টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস।
Screener.in: কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ সহজে বোঝার জন্য।
NSE Official Website: আসল ও নির্ভরযোগ্য ডেটা।
YouTube Learning: CA Rachana, FinnovationZ (সহজ ভাষায় শেখার জন্য)।
৩) দ্রুত শেখার শর্টকাট টিপস
প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট বাজারের চার্ট দেখার অভ্যাস করুন।
প্রথমেই Support–Resistance, Trend, Volume—এগুলো ভালোভাবে বুঝে নিন।
বড় রিটার্নের পেছনে না ছুটে রিস্ক-ম্যানেজমেন্ট শিখুন।
একই সময়ে কয়েকটি (৩–৫টির বেশি নয়) শেয়ার নিয়ে কাজ করুন।
যেকোনো শেয়ার কেনার আগে অন্তত ৫ মিনিট গবেষণা করুন।
৪) রিসার্চ/অভিজ্ঞতা থেকে সংক্ষেপে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা
বাজারে তাড়াহুড়ো করলে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি—ধৈর্য এখানে সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
প্রথম কয়েক মাসে লাভ নয়, শেখাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
বড় কোম্পানিতে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ নতুনদের জন্য বেশি নিরাপদ।
মার্কেট-নিউজ নয়, ডেটা ও চার্ট বেশি নির্ভরযোগ্য।
নিয়মিত শেখা ও ছোট ছোট সিদ্ধান্ত—এটাই দীর্ঘমেয়াদে সাফল্য আনে।
উপসংহার
আপনি যদি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার কথা ভাবেন, তবে এটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে এই বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে আগে ভালোভাবে শেখা জরুরি। তারপর ধাপে ধাপে কাজ শুরু করে বিনিয়োগের পথে এগিয়ে চলুন। জ্ঞান ও সচেতনতার মাধ্যমে এই পথ আপনাকে সফলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
দাবিত্যাগ (Disclaimer):
এই ব্লগে প্রকাশিত সকল তথ্য শুধুমাত্র শিক্ষামূলক ও সাধারণ তথ্যের জন্য প্রদান করা হয়েছে। আমরা তথ্যের যথাসম্ভব নির্ভুলতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করি, তবে এটি বিনিয়োগ পরামর্শ নয়। বিনিয়োগের আগে একজন পেশাদার পরামর্শকের সঙ্গে কথা বলুন।
%20(1).webp)
.webp)








