ইনডিকেটর (Indicator) কী? ট্রেডিংয়ে এর ব্যবহার ও গুরুত্ব
ইনডিকেটর (Indicator) হল স্টক মার্কেট, ফরেক্স, ক্রিপ্টো বা অন্য যে কোনো ফিনান্সিয়াল মার্কেটে প্রাইস মুভমেন্ট বিশ্লেষণের অন্যতম শক্তিশালী টুল। এটি অতীত বাজার তথ্য (Past Data) ব্যবহার করে ভবিষ্যতের ট্রেন্ড, মোমেন্টাম, ভলিউম ও ভোলাটিলিটি সম্পর্কে ধারণা দেয়। ফলে ট্রেডাররা সঠিক এন্ট্রি ও এক্সিট পয়েন্ট নির্ধারণ করতে পারেন।
ট্রেডিংয়ে শুধুমাত্র ইনডিকেটর নয়, চার্ট বিশ্লেষণও জরুরি
✅ যদিও ইনডিকেটর ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে শুধুমাত্র ইনডিকেটরের ওপর নির্ভর করা সঠিক নয়।
✅ প্রতিদিন নিয়মিত চার্ট বিশ্লেষণ করা অত্যন্ত জরুরি, কারণ বাজারের গতিবিধি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়।
✅ যত বেশি চার্ট দেখবেন, তত বেশি অভিজ্ঞতা বাড়বে, যা আপনাকে সঠিক ট্রেডিং ডিসিশন নিতে সাহায্য করবে।
মার্কেটে মোট কত ধরনের ইনডিকেটর রয়েছে?
শেয়ার বাজারে ইনডিকেটর সাধারণত ৫টি প্রধান ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। প্রতিটি ক্যাটাগরির কাজ আলাদা, এবং ট্রেডাররা তাদের ট্রেডিং স্টাইল অনুযায়ী এগুলো ব্যবহার করে থাকেন।
শেয়ার বাজারের প্রধান ৫টি ইনডিকেটর ক্যাটাগরি
১. ভোলাটিলিটি ইনডিকেটর (Volatility Indicators)
২. সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স ইনডিকেটর (Support & Resistance Indicators)
৩. ভলিউম ইনডিকেটর (Volume Indicators)
৪. ট্রেন্ড ইনডিকেটর (Trend Indicators)
৫. মোমেন্টাম ইনডিকেটর (Momentum Indicators)
ভোলাটিলিটি ইনডিকেটর (Volatility Indicators) কী?
ভোলাটিলিটি ইনডিকেটর মূলত বাজারের ওঠানামা বা দামের অস্থিরতা পরিমাপ করতে সাহায্য করে। যখন মার্কেট খুব অল্প সময়ে বেশি ওঠানামা করে এবং দাম স্থিতিশীল থাকে না, তখন বোঝা যায় যে মার্কেটে ভোলাটিলিটি বেশি। অন্যদিকে, যদি দামের ওঠানামা কম হয় এবং মার্কেট তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকে, তাহলে ভোলাটিলিটি কম বলে ধরে নেওয়া হয়।
জনপ্রিয় ভোলাটিলিটি ইনডিকেটরসমূহ – ট্রেডিংয়ে সঠিক বিশ্লেষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টুল
১. Average True Range (ATR) - গড় সত্য পরিসর
২. Bollinger Bands - বোলিঞ্জার ব্যান্ডস
৩. Donchian Channel - ডনচিয়ান চ্যানেল
৪. Keltner Channel - কেল্টনার চ্যানেল
৫. Historical Volatility - ঐতিহাসিক ভোলাটিলিটি
৬. Chaikin Volatility Indicator - চাইকিন ভোলাটিলিটি ইনডিকেটর
৭. Relative Volatility Index (RVI) - আপেক্ষিক ভোলাটিলিটি সূচক
৮. Standard Deviation Indicator - মান বিচ্যুতি ইনডিকেটর
৯. Mass Index (MI) - ম্যাস ইনডেক্স
১০. Ulcer Index - আলসার ইনডেক্স
১১. Beta Indicator - বিটা ইনডিকেটর
১২. Volatility Index (VIX) - ভোলাটিলিটি ইনডেক্স
১৩. True Range Indicator - সত্য পরিসর ইনডিকেটর
১৪. Price Rate of Change Volatility - দামের পরিবর্তনের হার ভিত্তিক ভোলাটিলিটি
১৫. Linear Regression Channel - লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল
১৬. Stoller Average Range Channels (STARC) - স্টোলার গড় পরিসর চ্যানেল
১৭. Efficiency Ratio - দক্ষতা অনুপাত
১৮. Mean Deviation - গড় বিচ্যুতি
১৯. Fractal Chaos Band - ফ্র্যাক্টাল ক্যাওস ব্যান্ড
২০. Moving Standard Deviation - চলমান মান বিচ্যুতি
জনপ্রিয় ভোলাটিলিটি ইনডিকেটর এবং তাদের কাজ
-
Average True Range (ATR) - গড় সত্য পরিসর
- বাজারের ভোলাটিলিটি পরিমাপ করে।
- উদাহরণ: যদি ATR উচ্চ হয়, তাহলে মার্কেট বেশি ভোলাটাইল।
-
Bollinger Bands - বোলিঙ্গার ব্যান্ডস
- ভোলাটিলিটি নির্ণয়ে প্রাইস চ্যানেল তৈরি করে।
- উদাহরণ: যদি দাম উপরের ব্যান্ড ছোঁয়, তাহলে এটি ওভারবট হতে পারে।
-
Donchian Channel - ডনচিয়ান চ্যানেল
- নির্দিষ্ট সময়ের উচ্চ ও নিম্ন স্তর নির্ধারণ করে।
- উদাহরণ: দাম যদি চ্যানেলের উপরের সীমা ভেঙে দেয়, তাহলে আপট্রেন্ড শুরু হতে পারে।
-
Keltner Channel - কেল্টনার চ্যানেল
- ATR-এর উপর ভিত্তি করে প্রাইস চ্যানেল তৈরি করে।
- উদাহরণ: যদি দাম চ্যানেলের বাইরে যায়, তাহলে শক্তিশালী মুভমেন্ট হতে পারে।
-
Historical Volatility - ঐতিহাসিক ভোলাটিলিটি
- অতীতের দামের ওঠানামা পরিমাপ করে।
- উদাহরণ: কম HV মানে কম ভোলাটিল মার্কেট।
-
Chaikin Volatility Indicator - চাইকিন ভোলাটিলিটি ইনডিকেটর
- প্রাইস ও ভলিউম পরিবর্তন বিশ্লেষণ করে।
- উদাহরণ: উচ্চ চাইকিন ভোলাটিলিটি মানে বাজার বেশি পরিবর্তনশীল।
-
Relative Volatility Index (RVI) - আপেক্ষিক ভোলাটিলিটি সূচক
- RSI-এর মতো কাজ করে, তবে ভোলাটিলিটি বিশ্লেষণ করে।
- উদাহরণ: RVI বেশি হলে, বাজারের দিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা বেশি।
-
Standard Deviation Indicator - মান বিচ্যুতি ইনডিকেটর
- দামের গড় থেকে বিচ্যুতি পরিমাপ করে।
- উদাহরণ: বেশি মান বিচ্যুতি মানে বেশি অনিশ্চয়তা।
-
Mass Index (MI) - ম্যাস ইনডেক্স
- ট্রেন্ড রিভার্সাল শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।
- উদাহরণ: যদি MI নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে, তাহলে ট্রেন্ড পরিবর্তন হতে পারে।
-
Ulcer Index - আলসার ইনডেক্স
- ড্রডাউনের মাধ্যমে বাজারের ঝুঁকি নির্ণয় করে।
- উদাহরণ: উচ্চ UI মানে বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশি ঝুঁকি।
- Beta Indicator - বিটা ইনডিকেটর
- স্টকের বাজারের সাথে সংবেদনশীলতা পরিমাপ করে।
- উদাহরণ: বিটা > ১ হলে স্টক বেশি ভোলাটাইল।
- Volatility Index (VIX) - ভোলাটিলিটি ইনডেক্স
- বাজারের ভবিষ্যৎ ভোলাটিলিটি নির্ধারণ করে।
- উদাহরণ: VIX বেশি হলে বাজার বেশি অনিশ্চিত।
- True Range Indicator - সত্য পরিসর ইনডিকেটর
- প্রতিদিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দামের ব্যবধান পরিমাপ করে।
- উদাহরণ: উচ্চ TR মানে বড় দামের পরিবর্তন।
- Price Rate of Change Volatility - দামের পরিবর্তনের হার ভিত্তিক ভোলাটিলিটি
- দামের গতির হার বিশ্লেষণ করে।
- উদাহরণ: বেশি পরিবর্তন হার মানে শক্তিশালী ট্রেন্ড।
- Linear Regression Channel - লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল
- ট্রেন্ডের সম্ভাব্য দিক নির্ধারণ করে।
- উদাহরণ: দাম যদি চ্যানেলের বাইরে যায়, তাহলে ট্রেন্ড পরিবর্তন হতে পারে।
- Stoller Average Range Channels (STARC) - স্টোলার গড় পরিসর চ্যানেল
- ATR-এর ভিত্তিতে চ্যানেল তৈরি করে।
- উদাহরণ: দাম যদি চ্যানেলের বাইরে যায়, তাহলে ওভারসোল্ড বা ওভারবট হতে পারে।
- Efficiency Ratio - দক্ষতা অনুপাত
- মার্কেট ট্রেন্ডের কার্যকারিতা পরিমাপ করে।
- উদাহরণ: বেশি দক্ষতা অনুপাত মানে শক্তিশালী ট্রেন্ড।
- Mean Deviation - গড় বিচ্যুতি
- প্রাইসের গড় পরিবর্তন পরিমাপ করে।
- উদাহরণ: বেশি মান বিচ্যুতি মানে বেশি ভোলাটিলিটি।
- Fractal Chaos Band - ফ্র্যাক্টাল ক্যাওস ব্যান্ড
- বাজারের ট্রেন্ড বিশ্লেষণ করে।
- উদাহরণ: যদি দাম ব্যান্ডের ওপরে যায়, তাহলে ট্রেন্ড আপ।
- Moving Standard Deviation - চলমান মান বিচ্যুতি
- চলমান সময়ের দামের বিচ্যুতি নির্ণয় করে।
- উদাহরণ: বেশি MSD মানে বেশি ভোলাটিল মার্কেট।
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স ইনডিকেটর কী?
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স ইনডিকেটর এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল, যা শেয়ার বাজারে দামের ওঠানামার গুরুত্বপূর্ণ লেভেল চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।
সাপোর্ট (Support) কী?
সাপোর্ট হলো এমন একটি প্রাইস লেভেল, যেখানে দাম নিচে নামতে নামতে ক্রেতাদের চাহিদা বেড়ে যায়, ফলে দাম পুনরায় বেড়ে ওঠার প্রবণতা দেখা যায়। সহজভাবে বললে, এটি এমন একটি পয়েন্ট যেখানে শেয়ারের দাম পতনের পর থেমে যেতে পারে এবং উল্টো দিকেও যেতে পারে।
রেজিস্ট্যান্স (Resistance) কী?
রেজিস্ট্যান্স হলো এমন একটি লেভেল, যেখানে দাম বাড়তে বাড়তে বিক্রেতাদের চাপে পড়ে এবং পুনরায় নিচের দিকে নামতে শুরু করে। এটি এমন একটি পয়েন্ট, যা দামকে আর বেশি বাড়তে দেয় না এবং সেখানে বিক্রেতারা সক্রিয় হয়।
জনপ্রিয় সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স ইনডিকেটরসমূহ
১. Fibonacci Retracement - ফিবোনাচি রিট্রেসমেন্ট
২. Pivot Points - পিভট পয়েন্টস
৩. Camarilla Pivot Points - ক্যামারিলা পিভট পয়েন্টস
৪. Murrey Math Lines - মারে ম্যাথ লাইনস
৫. Trendlines - ট্রেন্ডলাইনস
৬. Gann Fan - গ্যান ফ্যান
৭. Gann Square - গ্যান স্কয়ার
৮. Andrews’ Pitchfork - অ্যান্ড্রুজ’স পিচফর্ক
৯. Market Profile Indicator - মার্কেট প্রোফাইল ইনডিকেটর
১০. Volume Profile - ভলিউম প্রোফাইল
জনপ্রিয় সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স ইনডিকেটর এবং তাদের কাজ
-
Fibonacci Retracement - ফিবোনাচি রিট্রেসমেন্ট
- ফিবোনাচি অনুপাত ব্যবহার করে সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল চিহ্নিত করে।
- উদাহরণ: যদি দাম ৬১.৮% রিট্রেসমেন্ট লেভেলে সাপোর্ট পায়, তবে এটি আবার উপরে উঠতে পারে।
-
Pivot Points - পিভট পয়েন্টস
- আগের দিনের হাই, লো ও ক্লোজ মূল্য ব্যবহার করে বর্তমান দিনের সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স নির্ধারণ করে।
- উদাহরণ: দাম যদি পিভট পয়েন্টের ওপরে থাকে, তাহলে বুলিশ ট্রেন্ড।
-
Camarilla Pivot Points - ক্যামারিলা পিভট পয়েন্টস
- পিভট পয়েন্টের উন্নত সংস্করণ যা ঘনিষ্ঠ সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল প্রদান করে।
- উদাহরণ: যদি দাম R4 লেভেলের ওপরে চলে যায়, তবে তা ব্রেকআউট নির্দেশ করতে পারে।
-
Murrey Math Lines - মারে ম্যাথ লাইনস
- সমান দূরত্বে বিভক্ত লেভেল ব্যবহার করে সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স নির্ধারণ করে।
- উদাহরণ: ৩/৮ লেভেল শক্তিশালী সাপোর্ট হিসেবে কাজ করতে পারে।
-
Trendlines - ট্রেন্ডলাইনস
- ট্রেন্ড নির্ধারণের জন্য মূল দামের উচ্চ ও নিম্ন বিন্দু সংযোগ করে।
- উদাহরণ: ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ডলাইনের নিচে দাম নেমে গেলে ডাউনট্রেন্ড শুরু হতে পারে।
-
Gann Fan - গ্যান ফ্যান
- বিশেষ কোণ ব্যবহার করে প্রবণতা বিশ্লেষণ করে।
- উদাহরণ: ১×১ লাইন শক্তিশালী ট্রেন্ড নির্দেশ করে।
-
Gann Square - গ্যান স্কয়ার
- গ্যান তত্ত্বের ভিত্তিতে দামের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণ করে।
- উদাহরণ: যদি দাম গ্যান স্কয়ারের নির্দিষ্ট পয়েন্টে প্রতিক্রিয়া দেখায়, তবে এটি সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স হতে পারে।
-
Andrews’ Pitchfork - অ্যান্ড্রুজ’স পিচফর্ক
- তিনটি মূল বিন্দু ব্যবহার করে ট্রেন্ড চ্যানেল তৈরি করে।
- উদাহরণ: দাম যদি মিডলাইন স্পর্শ করে, তবে এটি রিভার্স হতে পারে।
-
Market Profile Indicator - মার্কেট প্রোফাইল ইনডিকেটর
- নির্দিষ্ট সময়ে দামের বিতরণ বিশ্লেষণ করে।
- উদাহরণ: প্রাইস যদি ভ্যালু এরিয়া হাই-এর ওপরে যায়, তাহলে ট্রেন্ড বুলিশ হতে পারে।
-
Volume Profile - ভলিউম প্রোফাইল
- নির্দিষ্ট দামের স্তরে ট্রেড হওয়া ভলিউম বিশ্লেষণ করে।
- উদাহরণ: পিওসি (Point of Control) হলো সেই লেভেল যেখানে সবচেয়ে বেশি ট্রেড হয়েছে, যা গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স হতে পারে।
ভলিউম ইনডিকেটর কী? কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
ভলিউম ইনডিকেটর হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ টুল, যা বাজারে নির্দিষ্ট সময়ে লেনদেন হওয়া শেয়ারের সংখ্যা পরিমাপ করতে সাহায্য করে। ট্রেডাররা এই ইনডিকেটর ব্যবহার করে বুঝতে পারেন যে বাজারে কোনো শেয়ার বা অ্যাসেটের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কেমন এবং তা কতটা শক্তিশালী।
জনপ্রিয় ভলিউম ইনডিকেটরসমূহ
১. On Balance Volume (OBV) - অন-ব্যালান্স ভলিউম
২. Accumulation/Distribution Line (A/D Line) - অ্যাকুমুলেশন/ডিস্ট্রিবিউশন লাইন
৩. Money Flow Index (MFI) - মানি ফ্লো ইনডেক্স
৪. Chaikin Money Flow (CMF) - চাইকিন মানি ফ্লো
৫. Volume Weighted Average Price (VWAP) - ভলিউম ওয়েটেড এভারেজ প্রাইস
৬. Klinger Volume Oscillator - ক্লিঙ্গার ভলিউম অসসিলেটর
৭. Volume Price Trend (VPT) - ভলিউম প্রাইস ট্রেন্ড
৮. Ease of Movement (EOM) - ইজ অব মুভমেন্ট
৯. Force Index - ফোর্স ইনডেক্স
১০. Market Volume Indicator - মার্কেট ভলিউম ইনডিকেটর
১১. Price and Volume Trend (PVT) - প্রাইস ও ভলিউম ট্রেন্ড
১২. Negative Volume Index (NVI) - নেগেটিভ ভলিউম ইনডেক্স
১৩. Positive Volume Index (PVI) - পজিটিভ ভলিউম ইনডেক্স
১৪. Chaikin Oscillator - চাইকিন অসসিলেটর
১৫. Volume MA - ভলিউম মুভিং এভারেজ
১৬. Weis Wave Volume - ওয়েইস ওয়েভ ভলিউম
১৭. Accumulation Swing Index - অ্যাকুমুলেশন সুইং ইনডেক্স
১৮. Tick Volume Indicator - টিক ভলিউম ইনডিকেটর
১৯. Cumulative Delta Volume - কিউমুলেটিভ ডেল্টা ভলিউম
২০. Delta Indicator - ডেল্টা ইনডিকেটর
জনপ্রিয় ভলিউম ইনডিকেটর ও তাদের কা
-
On Balance Volume (OBV) - অন-ব্যালান্স ভলিউম
- ভলিউম পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রাইস ট্রেন্ডের দিক নির্দেশ করে।
- উদাহরণ: যদি OBV বাড়তে থাকে, তবে বুঝতে হবে যে ইনস্টিটিউশনাল বিনিয়োগকারীরা স্টক কিনছে।
-
Accumulation/Distribution Line (A/D Line) - অ্যাকুমুলেশন/ডিস্ট্রিবিউশন লাইন
- মূল্যের সাথে ভলিউমের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে।
- উদাহরণ: যদি A/D লাইন ঊর্ধ্বমুখী হয়, তবে স্টকটি অ্যাকুমুলেশন পর্যায়ে আছে।
-
Money Flow Index (MFI) - মানি ফ্লো ইনডেক্স
- RSI-এর মতো, কিন্তু এতে ভলিউম অন্তর্ভুক্ত থাকে।
- উদাহরণ: যদি MFI ২০-এর নিচে নামে, তবে স্টক ওভারসোল্ড।
-
Chaikin Money Flow (CMF) - চাইকিন মানি ফ্লো
- নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেনাবেচার চাপ নির্ধারণ করে।
- উদাহরণ: যদি CMF ধনাত্মক হয়, তাহলে বাজারে ক্রয়ের প্রবাহ বেশি।
-
Volume Weighted Average Price (VWAP) - ভলিউম ওয়েটেড এভারেজ প্রাইস
- দাম ও ভলিউমের গড় বিশ্লেষণ করে।
- উদাহরণ: VWAP-এর ওপরে থাকলে স্টক আপট্রেন্ডে আছে।
-
Klinger Volume Oscillator - ক্লিঙ্গার ভলিউম অসসিলেটর
- দীর্ঘ ও স্বল্প-মেয়াদী ভলিউম ট্রেন্ড বিশ্লেষণ করে।
- উদাহরণ: সংকেত লাইন ক্রস করলে ট্রেডিং সিগন্যাল পাওয়া যায়।
-
Volume Price Trend (VPT) - ভলিউম প্রাইস ট্রেন্ড
- মূল্য ও ভলিউম পরিবর্তনের মাধ্যমে ট্রেন্ড নির্ধারণ করে।
- উদাহরণ: VPT বৃদ্ধি পেলে বুঝতে হবে যে দাম বাড়ছে।
-
Ease of Movement (EOM) - ইজ অব মুভমেন্ট
- দাম ও ভলিউমের মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে।
- উদাহরণ: উচ্চ EOM মান মানে কম ভলিউমেও বড় মুভমেন্ট হচ্ছে।
-
Force Index - ফোর্স ইনডেক্স
- দাম, ভলিউম ও দিক বিশ্লেষণ করে।
- উদাহরণ: ধনাত্মক হলে বাজার বুলিশ, ঋণাত্মক হলে বেয়ারিশ।
-
Market Volume Indicator - মার্কেট ভলিউম ইনডিকেটর
- মোট ট্রেড হওয়া শেয়ারের সংখ্যা নির্দেশ করে।
- উদাহরণ: হঠাৎ বেশি ভলিউম মানে বড় ইনভেস্টররা সক্রিয়।
- Price and Volume Trend (PVT) - প্রাইস ও ভলিউম ট্রেন্ড
- দামের গতি ও ভলিউম বিশ্লেষণ করে।
- উদাহরণ: PVT ঊর্ধ্বমুখী হলে বুঝতে হবে স্টক শক্তিশালী।
- Negative Volume Index (NVI) - নেগেটিভ ভলিউম ইনডেক্স
- কম ভলিউমের সময় বাজারের আচরণ বিশ্লেষণ করে।
- উদাহরণ: NVI বাড়লে বুঝতে হবে স্মার্ট মানি বিনিয়োগ করছে।
- Positive Volume Index (PVI) - পজিটিভ ভলিউম ইনডেক্স
- বেশি ভলিউমের সময় বাজারের আচরণ বিশ্লেষণ করে।
- উদাহরণ: PVI বৃদ্ধি মানে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে।
- Chaikin Oscillator - চাইকিন অসসিলেটর
- A/D লাইনের ভেরিয়েশন বিশ্লেষণ করে।
- উদাহরণ: ঊর্ধ্বমুখী হলে স্টক কেনার সংকেত দেয়।
- Volume MA - ভলিউম মুভিং এভারেজ
- ভলিউমের গড় হিসাব করে প্রবণতা নির্ধারণ করে।
- উদাহরণ: বর্তমান ভলিউম যদি MA-এর ওপরে থাকে, তবে ট্রেন্ড শক্তিশালী।
- Weis Wave Volume - ওয়েইস ওয়েভ ভলিউম
- ভলিউমের পরিবর্তনকে তরঙ্গের মতো বিশ্লেষণ করে।
- উদাহরণ: বড় ওয়েভ মানে বাজারে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।
- Accumulation Swing Index - অ্যাকুমুলেশন সুইং ইনডেক্স
- সুইং ট্রেডিংয়ের জন্য কেনাবেচার সংকেত দেয়।
- উদাহরণ: ঊর্ধ্বমুখী হলে ক্রয়ের প্রবণতা বেশি।
- Tick Volume Indicator - টিক ভলিউম ইনডিকেটর
- ট্রেডের সংখ্যা গণনা করে বাজারের গতি নির্ধারণ করে।
- উদাহরণ: বেশি টিক মানে বাজারে বেশি কার্যকলাপ।
- Cumulative Delta Volume - কিউমুলেটিভ ডেল্টা ভলিউম
- বাই ও সেল অর্ডারের পার্থক্য বিশ্লেষণ করে।
- উদাহরণ: ধনাত্মক হলে বাজারে কেনার চাপ বেশি।
- Delta Indicator - ডেল্টা ইনডিকেটর
- লেনদেনের পরিমাণ বিশ্লেষণ করে।
- উদাহরণ: বেশি ডেল্টা মানে বাজারে বড় ইনভেস্টর সক্রিয়।
ট্রেন্ড ইনডিকেটর কী?
ট্রেন্ড ইনডিকেটর হলো একটি টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ টুল, যা বাজারের দীর্ঘমেয়াদী দিকনির্দেশনা বা প্রবণতা বোঝাতে সাহায্য করে। এটি ট্রেডারদের জানায় যে বাজার বর্তমানে উর্ধ্বমুখী (আপট্রেন্ড), নিম্নমুখী (ডাউনট্রেন্ড) নাকি সমান্তরাল (সাইডওয়ে) গতিতে চলছে।
জনপ্রিয় ট্রেন্ড ইনডিকেটরসমূহ
১. Moving Average (MA) - মুভিং এভারেজ
২. Simple Moving Average (SMA) - সাধারণ মুভিং এভারেজ
৩. Exponential Moving Average (EMA) - এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজ
৪. Weighted Moving Average (WMA) - ওয়েটেড মুভিং এভারেজ
৫. Hull Moving Average (HMA) - হাল মুভিং এভারেজ
৬. Kaufman’s Adaptive Moving Average (KAMA) - কাউফম্যান অ্যাডাপটিভ মুভিং এভারেজ
৭. Bollinger Bands - বোলিঙ্গার ব্যান্ডস
৮. Parabolic SAR - প্যারাবলিক এসএআর
৯. Ichimoku Cloud - ইচিমোকু ক্লাউড
১০. SuperTrend Indicator - সুপারট্রেন্ড ইনডিকেটর
১১. Average Directional Index (ADX) - এভারেজ ডাইরেকশনাল ইনডেক্স
১২. Donchian Channel - ডনচিয়ান চ্যানেল
১৩. Zig Zag Indicator - জিগজ্যাগ ইনডিকেটর
১৪. Fractal Indicator - ফ্র্যাক্টাল ইনডিকেটর
১৫. Price Channel - প্রাইস চ্যানেল
১৬. Moving Average Ribbon - মুভিং এভারেজ রিবন
১৭. Guppy Multiple Moving Average (GMMA) - গাপ্পি মাল্টিপল মুভিং এভারেজ
১৮. VIDYA Indicator - ভিডিআইওয়াইএ ইনডিকেটর
১৯. Triangular Moving Average (TMA) - ট্রায়াঙ্গুলার মুভিং এভারেজ
২০. Double Exponential Moving Average (DEMA) - ডাবল এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজ
জনপ্রিয় ট্রেন্ড ইনডিকেটর ও তাদের কাজ
১. Moving Average (MA) - মুভিং এভারেজ
- এটি নির্দিষ্ট সময়ের গড় মূল্য দেখায়, যা ট্রেন্ড চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।
- উদাহরণ: দাম যদি MA-এর ওপরে থাকে, তবে আপট্রেন্ড নির্দেশ করে।
২. Simple Moving Average (SMA) - সাধারণ মুভিং এভারেজ
- নির্দিষ্ট সময়ের গড় দাম পরিমাপ করে, যা ট্রেন্ডের দিক নির্দেশ করে।
- উদাহরণ: ৫০-দিনের SMA যদি ২০০-দিনের SMA-এর ওপরে যায়, তবে বুলিশ সিগন্যাল দেয়।
৩. Exponential Moving Average (EMA) - এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজ
- সাম্প্রতিক দামের উপর বেশি গুরুত্ব দেয়, যা দ্রুত ট্রেন্ড শনাক্ত করতে সহায়ক।
- উদাহরণ: EMA ঊর্ধ্বমুখী হলে বাজার শক্তিশালী হতে পারে।
৪. Weighted Moving Average (WMA) - ওয়েটেড মুভিং এভারেজ
- সাম্প্রতিক ডেটাকে বেশি ওজন দেয়, যা বেশি সংবেদনশীল ট্রেন্ড দেখায়।
- উদাহরণ: WMA দ্রুত পরিবর্তন হলে বাজারে প্রবণতা পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
৫. Hull Moving Average (HMA) - হাল মুভিং এভারেজ
- বাজারের অস্থিরতা কমিয়ে আরও মসৃণ ট্রেন্ড লাইন তৈরি করে।
- উদাহরণ: HMA যদি ঊর্ধ্বমুখী হয়, তবে এটি একটি শক্তিশালী আপট্রেন্ড নির্দেশ করে।
৬. Kaufman’s Adaptive Moving Average (KAMA) - কাউফম্যান অ্যাডাপটিভ মুভিং এভারেজ
- বাজারের গতি অনুযায়ী নিজেকে সামঞ্জস্য করে, যা মিথ্যা সংকেত কমায়।
- উদাহরণ: KAMA যদি ঊর্ধ্বমুখী হয়, তবে এটি বাজারের স্থিতিশীলতা নির্দেশ করে।
৭. Bollinger Bands - বোলিঙ্গার ব্যান্ডস
- এটি ভোলাটিলিটি পরিমাপ করে এবং দামের ওঠানামার একটি পরিসীমা দেয়।
- উদাহরণ: দাম যদি উপরের ব্যান্ড ছোঁয়, তবে এটি Overbought নির্দেশ করতে পারে।
৮. Parabolic SAR - প্যারাবলিক এসএআর
- এটি ট্রেন্ডের দিক চিহ্নিত করে এবং স্টপ-লস সেট করতে সহায়ক।
- উদাহরণ: বিন্দুগুলো যদি দামের নিচে থাকে, তবে বাজার ঊর্ধ্বমুখী।
৯. Ichimoku Cloud - ইচিমোকু ক্লাউড
- এটি সমর্থন, প্রতিরোধ এবং ট্রেন্ড বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করে।
- উদাহরণ: দাম যদি ক্লাউডের ওপরে থাকে, তবে এটি বুলিশ ট্রেন্ড নির্দেশ করে।
১০. SuperTrend Indicator - সুপারট্রেন্ড ইনডিকেটর
- এটি ট্রেন্ড ফলো করতে সাহায্য করে এবং স্টপ-লস সেট করতে ব্যবহৃত হয়।
- উদাহরণ: সবুজ সংকেত আপট্রেন্ড এবং লাল সংকেত ডাউনট্রেন্ড নির্দেশ করে।
১১. Average Directional Index (ADX) - এভারেজ ডাইরেকশনাল ইনডেক্স
- এটি ট্রেন্ডের শক্তি পরিমাপ করে।
- উদাহরণ: ADX যদি ২০-এর বেশি হয়, তবে প্রবণতা শক্তিশালী হতে পারে।
১২. Donchian Channel - ডনচিয়ান চ্যানেল
- এটি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দামের মধ্যে একটি চ্যানেল তৈরি করে।
- উদাহরণ: দাম যদি চ্যানেলের উপরের অংশে পৌঁছায়, তবে ব্রেকআউট ঘটতে পারে।
১৩. Zig Zag Indicator - জিগজ্যাগ ইনডিকেটর
- এটি ছোটখাট অস্থিরতা ফিল্টার করে আসল ট্রেন্ড নির্ধারণ করে।
- উদাহরণ: এটি মূল প্রবণতার দিক নির্দেশ করতে সাহায্য করে।
১৪. Fractal Indicator - ফ্র্যাক্টাল ইনডিকেটর
- এটি বাজারের সম্ভাব্য বিপরীতমুখী চলাচল শনাক্ত করে।
- উদাহরণ: উপরের দিকে তীর হলে দাম কমার সম্ভাবনা, আর নিচের দিকে তীর হলে দাম বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
১৫. Price Channel - প্রাইস চ্যানেল
- এটি দামের ওঠানামার জন্য একটি সীমানা নির্ধারণ করে।
- উদাহরণ: দাম যদি চ্যানেলের উপরের অংশে পৌঁছে, তবে ব্রেকআউট ঘটতে পারে।
১৬. Moving Average Ribbon - মুভিং এভারেজ রিবন
- এটি একাধিক মুভিং এভারেজ লাইন ব্যবহার করে ট্রেন্ড বিশ্লেষণ করে।
- উদাহরণ: যদি সব লাইন উপরের দিকে থাকে, তবে আপট্রেন্ড বোঝায়।
১৭. Guppy Multiple Moving Average (GMMA) - গাপ্পি মাল্টিপল মুভিং এভারেজ
- এটি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি মুভিং এভারেজের সংমিশ্রণ।
- উদাহরণ: ছোট মুভিং এভারেজ যদি বড় মুভিং এভারেজকে অতিক্রম করে, তবে এটি ট্রেন্ড পরিবর্তন বোঝাতে পারে।
১৮. VIDYA Indicator - ভিডিআইওয়াইএ ইনডিকেটর
- এটি বাজারের অস্থিরতা অনুযায়ী মুভিং এভারেজ সামঞ্জস্য করে।
- উদাহরণ: VIDYA যদি ঊর্ধ্বমুখী হয়, তবে এটি বাজারের স্থিতিশীলতা নির্দেশ করে।
১৯. Triangular Moving Average (TMA) - ট্রায়াঙ্গুলার মুভিং এভারেজ
- এটি মসৃণ প্রবণতা লাইন তৈরি করে এবং দামের ওঠানামা কম করে।
- উদাহরণ: TMA যদি ঊর্ধ্বমুখী হয়, তবে দীর্ঘমেয়াদী আপট্রেন্ড নির্দেশ করে।
২০. Double Exponential Moving Average (DEMA) - ডাবল এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজ
- এটি সাধারণ EMA-এর তুলনায় দ্রুত পরিবর্তনগুলো শনাক্ত করতে সক্ষম।
- উদাহরণ: DEMA যদি ঊর্ধ্বমুখী হয়, তবে এটি একটি শক্তিশালী বুলিশ সংকেত হতে পারে।
মোমেন্টাম ইনডিকেটর কী?
মোমেন্টাম ইনডিকেটর হলো একটি টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ টুল, যা বাজারের গতি ও দামের পরিবর্তনের শক্তি পরিমাপ করতে সাহায্য করে। এটি ট্রেডারদের বুঝতে সহায়তা করে দামের পরিবর্তন কত দ্রুত হচ্ছে এবং বর্তমান প্রবণতা (trend) কতটা শক্তিশালী।
মোমেন্টাম ইনডিকেটরের কাজ কী?
- যখন মোমেন্টাম বেশি থাকে, তখন বোঝা যায় বাজারে শক্তিশালী ক্রেতা বা বিক্রেতা সক্রিয় রয়েছে, ফলে প্রবণতা আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
- মোমেন্টাম কমে গেলে বোঝা যায় যে বর্তমান প্রবণতা দুর্বল হচ্ছে এবং দামের বিপরীতমুখী পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।
জনপ্রিয় মোমেন্টাম ইনডিকেটর
১. Relative Strength Index (RSI) - আপেক্ষিক শক্তি সূচক
২. Moving Average Convergence Divergence (MACD) - মুভিং অ্যাভারেজ কনভার্জেন্স ডাইভার্জেন্স
৩. Stochastic Oscillator - স্টোকাস্টিক অসসিলেটর
৪. Williams %R - উইলিয়ামস %R ইনডিকেটর
৫. Commodity Channel Index (CCI) - কমোডিটি চ্যানেল ইনডেক্স
৬. Rate of Change (ROC) - পরিবর্তনের হার ইনডিকেটর
৭. Momentum Indicator - মোমেন্টাম ইনডিকেটর
৮. Chande Momentum Oscillator (CMO) - চান্ডে মোমেন্টাম অসসিলেটর
৯. Awesome Oscillator (AO) - অসাম অসসিলেটর
১০. TRIX Indicator - ট্রিক্স ইনডিকেটর
১১. DeMarker Indicator - ডিমার্কার ইনডিকেটর
১২. Ultimate Oscillator - আলটিমেট অসসিলেটর
১৩. Connors RSI - কনর্স RSI ইনডিকেটর
১৪. Relative Vigor Index (RVI) - আপেক্ষিক কার্যক্ষমতা সূচক
১৫. Balance of Power (BOP) - শক্তির ভারসাম্য ইনডিকেটর
১৬. Schaff Trend Cycle (STC) - শ্যাফ ট্রেন্ড সাইকেল ইনডিকেটর
১৭. Smoothed Rate of Change - মসৃণ পরিবর্তনের হার ইনডিকেটর
১৮. Percentage Price Oscillator (PPO) - শতাংশ মূল্য অসসিলেটর
১৯. Elder Force Index (EFI) - এল্ডার ফোর্স ইনডিকেটর
২০. Know Sure Thing (KST) - নো শিওর থিং ইনডিকেটর.
জনপ্রিয় মোমেন্টাম ইনডিকেটর এবং তাদের কার্যপ্রণালী
মোমেন্টাম ইনডিকেটর বাজারের গতিবিধি ও ট্রেন্ডের শক্তি নির্ধারণ করতে সহায়ক। নিচে জনপ্রিয় কিছু মোমেন্টাম ইনডিকেটর এবং তাদের কাজ সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করা হলো—
১. Relative Strength Index (RSI) - আপেক্ষিক শক্তি সূচক
এই ইনডিকেটরটি স্টকের অতিরিক্ত কেনা (Overbought) ও অতিরিক্ত বিক্রি (Oversold) অবস্থা চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়।
- যদি RSI ৭০-এর বেশি হয়, তাহলে স্টক অতিরিক্ত কেনা হয়েছে এবং মূল্য পতনের সম্ভাবনা রয়েছে।
- যদি RSI ৩০-এর নিচে থাকে, তাহলে এটি অতিরিক্ত বিক্রি হয়েছে এবং দাম বাড়তে পারে।
২. Moving Average Convergence Divergence (MACD) - মুভিং অ্যাভারেজ কনভার্জেন্স ডাইভার্জেন্স
MACD ইনডিকেটর দুটি মুভিং অ্যাভারেজের পার্থক্য বিশ্লেষণ করে বাজার প্রবণতা চিহ্নিত করে।
- যদি MACD লাইন সিগন্যাল লাইনের উপরে চলে যায়, তাহলে এটি বুলিশ সংকেত প্রদান করে।
- যদি MACD লাইন নিচে চলে যায়, তাহলে এটি বিয়ারিশ সংকেত প্রদান করে।
৩. Stochastic Oscillator - স্টোকাস্টিক অসসিলেটর
এই ইনডিকেটরটি বাজারের বর্তমান মূল্যকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মূল্যের সাথে তুলনা করে।
- যদি মান ৮০-এর বেশি হয়, তাহলে স্টক অতিরিক্ত কেনা হয়েছে।
- যদি মান ২০-এর কম হয়, তাহলে এটি অতিরিক্ত বিক্রি হয়েছে।
৪. Williams %R - উইলিয়ামস %R ইনডিকেটর
এটি স্টোকাস্টিক অসসিলেটরের মতোই কাজ করে এবং Overbought ও Oversold অবস্থা নির্দেশ করে।
- যদি মান -২০-এর বেশি হয়, তাহলে স্টক অতিরিক্ত কেনা হয়েছে।
- যদি মান -৮০-এর নিচে থাকে, তাহলে স্টক অতিরিক্ত বিক্রি হয়েছে।
৫. Commodity Channel Index (CCI) - কমোডিটি চ্যানেল ইনডেক্স
CCI নির্দিষ্ট সময়ের গড় দামের সঙ্গে বর্তমান দাম তুলনা করে ট্রেন্ডের শক্তি নির্ধারণ করে।
- যদি CCI ১০০-এর বেশি হয়, তাহলে আপট্রেন্ড শক্তিশালী।
- যদি CCI -১০০-এর নিচে থাকে, তাহলে ডাউনট্রেন্ড ইঙ্গিত দেয়।
৬. Rate of Change (ROC) - পরিবর্তনের হার ইনডিকেটর
এই ইনডিকেটর নির্দিষ্ট সময়ের দামের পরিবর্তনের হার পরিমাপ করে।
- যদি ROC ঊর্ধ্বমুখী হয়, তাহলে বোঝা যায় দাম বাড়ছে।
- যদি ROC নিম্নমুখী হয়, তাহলে দাম কমতে পারে।
৭. Momentum Indicator - মোমেন্টাম ইনডিকেটর
এটি বর্তমান দামের সাথে পূর্বের নির্দিষ্ট সময়ের দামের পার্থক্য বিশ্লেষণ করে।
- যদি মোমেন্টাম লাইন ঊর্ধ্বমুখী হয়, তাহলে প্রবণতা শক্তিশালী হতে পারে।
৮. Awesome Oscillator (AO) - অসাম অসসিলেটর
AO দীর্ঘ ও স্বল্প-মেয়াদী মুভিং অ্যাভারেজের পার্থক্য বিশ্লেষণ করে ট্রেন্ডের শক্তি নির্ধারণ করে।
- যদি গ্রাফে সবুজ বার থাকে, তাহলে বাজার ঊর্ধ্বমুখী।
- যদি লাল বার দেখা যায়, তাহলে বাজার নিম্নমুখী হতে পারে।
৯. TRIX Indicator - ট্রিক্স ইনডিকেটর
TRIX ইনডিকেটর ট্রিপল-স্মুথড মুভিং অ্যাভারেজ ব্যবহার করে বাজারের প্রবণতা বোঝায়।
- যদি TRIX শূন্যের ওপরে থাকে, তাহলে বাজার ঊর্ধ্বমুখী।
১০. DeMarker Indicator - ডিমার্কার ইনডিকেটর
এটি Overbought ও Oversold পরিস্থিতি চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়।
- যদি মান ০.৭০-এর বেশি হয়, তাহলে স্টক অতিরিক্ত কেনা হয়েছে।
- যদি মান ০.৩০-এর কম হয়, তাহলে স্টক অতিরিক্ত বিক্রি হয়েছে।
১১. Ultimate Oscillator - আলটিমেট অসসিলেটর
এই ইনডিকেটরটি তিনটি ভিন্ন সময়সীমার ওসসিলেটরকে একত্রিত করে বাজারের শক্তি বিশ্লেষণ করে।
- যদি UO ৭০-এর ওপরে যায়, তাহলে Overbought সিগন্যাল দেয়।
- যদি UO ৩০-এর নিচে নামে, তাহলে Oversold অবস্থা বোঝায়।
১২. Relative Vigor Index (RVI) - আপেক্ষিক কার্যক্ষমতা সূচক
RVI বর্তমান মূল্য এবং দামের শক্তি নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়।
- যদি RVI ঊর্ধ্বমুখী হয়, তাহলে বাজার বুলিশ হতে পারে।
- যদি RVI নিম্নমুখী হয়, তাহলে বিয়ারিশ সংকেত দেয়।
১৩. Balance of Power (BOP) - শক্তির ভারসাম্য ইনডিকেটর
BOP ইনডিকেটর ক্রেতা ও বিক্রেতার শক্তির ভারসাম্য চিহ্নিত করে।
- যদি BOP ধনাত্মক হয়, তাহলে ক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ করছে।
- যদি BOP ঋণাত্মক হয়, তাহলে বিক্রেতারা বাজারে শক্তিশালী।
১৪. Schaff Trend Cycle (STC) - শ্যাফ ট্রেন্ড সাইকেল ইনডিকেটর
STC হল MACD-এর একটি উন্নত সংস্করণ যা প্রবণতা দ্রুত চিহ্নিত করে।
- যদি STC ২৫-এর নিচে যায়, তাহলে ক্রয়ের সুযোগ থাকতে পারে।
- যদি STC ৭৫-এর ওপরে যায়, তাহলে বিক্রির সংকেত হতে পারে।
১৫. Percentage Price Oscillator (PPO) - শতাংশ মূল্য অসসিলেটর
এটি MACD-এর মতোই কাজ করে, তবে শতাংশ ভিত্তিতে পরিমাপ করে।
- যদি PPO ০-এর ওপরে থাকে, তাহলে আপট্রেন্ড নির্দেশ করে।
- যদি PPO ০-এর নিচে থাকে, তাহলে ডাউনট্রেন্ড নির্দেশ করে।