স্টক মার্কেট দিয়ে ধনী হওয়ার উপায়

সত্যি কি স্টক মার্কেট থেকে ওয়েলথ তৈরি করতে চান? তাহলে জেনে নিন কিভাবে করে।



স্টক মার্কেট থেকে ওয়েলথ তৈরি করতে গেলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সেগুলো যদি আপনারা মেন্টেন করেন তাহলে সত্যি সত্যি শেয়ার বাজার আপনাকে ধনী বানাতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যারা নতুন তারা শেয়ার বাজারে আসেন রোজগারের জন্য। কিন্তু বাস্তবতা হলো স্টক মার্কেট থেকে ডেইলি বা কম সময়ে রোজগার করা একটা বিপদজনক সিদ্ধান্ত হতে পারে।

যেটা আমার ব্যক্তিগত মতামত হিসেবে একেবারেই ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ আমার অভিজ্ঞতায় যেটা আমি দেখেছি, শেয়ার বাজার অল্প সময়ের জায়গা নয়। আমি বহুবার চেষ্টা করেছি অল্প সময়ে শেয়ার বাজার থেকে টাকা রোজগার করার, কিন্তু সেটা বাস্তবে সম্ভব হয়নি। তাই আমি ভুল না ঠিক সেটা যাচাই করার জন্য বহু মানুষের সাথে কথা বলেছি যারা শেয়ার বাজারে যুক্ত আছেন। তারাও ঠিক একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।

তাই যারা সত্যি সত্যি যদি শেয়ার বাজারে ওয়েলথ তৈরি করতে চান তাহলে শেয়ার বাজারে লং টার্ম খেলতে হবে। আর যেটা আপনারা স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করছেন, সেই টাকা দিয়ে অন্য কিছু করার কথা প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর ভুলে যেতে হবে।

তাহলে আসুন, আমরা দেখি কিভাবে স্টক মার্কেট থেকে ওয়েলথ তৈরি করব।

প্রথমত যে জিনিসগুলি আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে

১. একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ইনভেস্ট করা।
২. যে টাকা আপনি ইনভেস্ট করবেন সেই টাকা ভুলে যেতে হবে।
৩. ভালো কোম্পানি খুঁজতে হবে ও অ্যানুয়াল রিপোর্ট পড়া শিখতে হবে।
৪. আপনার একটা উদ্দেশ্য থাকতে হবে।


সবার আগে যে জিনিসগুলো খেয়াল রাখা দরকার

Step-by-step guide on how to build long-term wealth from the stock market through auto investing, smart money management, diversified ETFs, and equity growth strategies."


1.প্রথম কাজ:

নিজের ইনকাম থেকে Auto Investment করতে হবে। অর্থাৎ প্রতি মাসে সেলারি পাওয়ার পরে নির্দিষ্ট একটা পার্সেন্ট টাকা আগে সেভ/ইনভেস্ট করে রাখা। ইনকামের উপর নির্ভর করে ঠিক করতে হবে।

2.দ্বিতীয় কাজ:

যেই টাকা ইনভেস্ট করবেন, সেটা ভুলে যেতে হবে। মানে ওই টাকা খরচ করার কথা চিন্তাই করবেন না।

3.তৃতীয় কাজ:

ফ্যামিলির খরচ ম্যানেজ করার পর যেটুকু টাকা বাঁচবে, সেটা দিয়েই ইনভেস্ট করতে হবে। কখনো এমনভাবে ইনভেস্ট করবেন না যাতে পরে ফ্যামিলির জন্য সমস্যা হয়।

(নোট: ক্লিয়ারলি লেখা – ফ্যামিলি কস্ট বাদ দিয়ে ইনভেস্ট করতে হবে, সরাসরি স্টক মার্কেটে ঝাঁপ দেওয়া যাবে না)।

4.চতুর্থ কাজ:

   ভালো কোম্পানির শেয়ার বা প্রোজেক্টে ইনভেস্ট করতে হবে। সন্দেহজনক কোম্পানিতে টাকা রাখলে সমস্যা হবে। কোম্পানির বাৎসরিক রিপোর্ট পড়ে দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।


“ছোট ছোট নির্দিষ্ট ইনভেস্টমেন্ট করে Invest করা”


নিয়মিতভাবে ছোট ছোট অঙ্কে ইনভেস্ট করতে হবে।

যেমন, মাসে ৩০০০ টাকা বাঁচাতে পারলে সেটা ভাগ করে ETF-এ ১০০০, Bond-এ ১০০০ বা Normal Equity-তে ১০০০ ইনভেস্ট করা যেতে পারে।

প্রথমে কম অঙ্ক দিয়ে শুরু করতে হবে, পরে ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে।

শুরুতে যদি ১৫,০০০ টাকা থাকে, তাহলে তার একটা নির্দিষ্ট অংশ ETF, Bond এবং Equity-তে ভাগ করে দেওয়া উচিত।

মাসে অন্তত ২০,০০০–৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত Stock Market-এ ইনভেস্ট করার পরিকল্পনা নিতে হবে।

 তবে সরাসরি Stock Market-এ বেশি টাকা না ঢেলে, ETF, Bond এবং Equity-তে ভাগ করে ইনভেস্ট করতে হবে।

এতে করে রিস্ক কমবে এবং ধীরে ধীরে ভালো Wealth তৈরি হবে।

 ETF

 Bond

 Equity


ETF কি?


ETF মানে হলো Exchange Traded Fund
এটা এমন একধরনের ফান্ড যেখানে অনেক কোম্পানির শেয়ার একসাথে রাখা থাকে।

ETF কিনলে আসলে আপনি আলাদা আলাদা কোম্পানির শেয়ার না কিনে, পুরো একটা ঝুড়ি (basket)-র মতো অনেক শেয়ারে একসাথে ইনভেস্ট করেন।

এর ফলে রিস্ক অনেকটা কমে যায়, কারণ এক কোম্পানি খারাপ করলে অন্য ভালো কোম্পানি সেটা কভার করে নিতে পারে।

এটা অনেকটা Mutual Fund-এর মতো, তবে Mutual Fund সাধারণত লম্বা প্রসেসের মাধ্যমে কিনতে হয়, কিন্তু ETF সরাসরি Stock Market থেকে শেয়ার কেনার মতো কেনা যায়।

Bond

Bond র ব্যাপারে একটা সাধারণ জিনিস একদম পরিষ্কার করে মাথায় নিতে হবে। Bond আসলে কী? Bond হচ্ছে একটি fixed income contract যেখানে কী হয়—সাধারণ মানুষের টাকা ধার নেয় সরকার এবং সেই টাকা একটা fixed interest rate সহ তাদেরকে ফেরত দেওয়া হয়। তাই যখন আপনি কোনো সরকারি bond কেনেন তখন আপনাকে আপনার total টাকার উপর একটা interest প্রতি বছরে বছরে দেওয়া হয়।

উদাহরণ স্বরূপ এরকম ভাবে যদি বলি তাহলে আরও ভালোভাবে বুঝবেন। ধরুন আপনি 2000 টাকা দিয়ে একটি সরকারি bond কিনলেন 8% interest-এ। সেটা 10 বছরের জন্য রেখে দিলেন। তাহলে কী ঘটবে? আপনি 2000 টাকার জন্য 160 টাকা করে fixed সুদ পাবেন, যেটা প্রতি বছরে বছরে পাবেন টানা 10 বছর। আর 10 বছর পর আপনার আসল 2000 টাকা ফেরত পাবেন।

মানে, মোট 10 বছরে 1600 টাকা আর 2000 টাকা—তাহলে মোট 3600 টাকা আপনি ফেরত পাবেন। না থাকবে কোনো ভয়, না থাকবে কোনো সন্দেহ—এটা একদম confirmed income। তাই সবাইকে share বাজারে invest করতে পারলে কী হয়? Equity আর ETF loss হয়ে গেলেও এই bond আপনাকে কিছুটা relief দেবে।


Equity –

Equity market বলতে মূলত শেয়ার বাজারকে বোঝানো হয়। এখানে অনেক ধরনের company এর share (শেয়ার) কেনা-বেচা হয়।

Company গুলো তাদের business চালানোর জন্য মূলধন (capital) সংগ্রহ করে।

Investor রা company এর share কিনে invest করে এবং পরে সেই share এর দামের বৃদ্ধি বা লাভ (profit) থেকে আয় করে।

Company যদি ভালো performance করে, তাহলে share এর দাম বাড়ে এবং investor রা লাভবান হয়।

Equity market মূলত long term investment এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।


ANUAL Report খুবই গুরুত্বপূর্ণ 

একটা company shareholder দের জন্য ANUAL Report খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা document। shareholder দের কাছে annual report এর মাধ্যমে কোম্পানির হিসাব, transaction, profit, loss সহ সবধরনের information দেওয়া হয়। এছাড়া কোম্পানি কীভাবে কাজ করছে, অন্য কোন company সাথে তুলনা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা – সবকিছু Annual report এ পাওয়া যায়।

এই report এর মাধ্যমে investor company তে invest করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। একভাবে বললে company এর annual report হচ্ছে একটা standing document যা company management, shareholder এবং অন্যদের কাছে কোম্পানির growth, challenge, future plan সম্পর্কে ধারণা দেয়।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন