Share Market অ্যানালাইসিস
যখন আমরা স্টক মার্কেটে কাজ করি-চাই নতুন হই বা পুরনো অভিজ্ঞতা থাকুক সবাই মূলত স্টক মার্কেট অ্যানালাইসিস নিয়ে বেশি আগ্রহ দেখাই। কিন্তু আসলে স্টক মার্কেট অ্যানালাইসিস কী?
কিছুটা ব্যক্তিগত দিক থেকে আগে আলোচনা করি। আসলে, অ্যানালাইসিস বা বিশ্লেষণ মানে হলো কোনো বিষয়কে গভীরভাবে বোঝার চেষ্টা করা। আমরা মানুষ এমন জিনিসের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হই যেটা আমাদের কাছে লোভনীয় মনে হয়। সেই জিনিসগুলো নিয়ে জানার ইচ্ছে আমাদের খুবই প্রবল। আমাদের মধ্যে একটা স্বাভাবিক গুণ আছে আমরা নিজেদের ভুল প্রমাণিত করতে চাই না। তাই আমরা যা ভাবি, সেটাই আমাদের কাছে সঠিক মনে হয়।
কিন্তু আমরা কি কখনো নিজেদের ভুল ভাবতে পারি ? কিংবা আমরা কি নিজেদের নিয়ে বিশ্লেষণ করি? স্টক মার্কেট কোনোভাবেই অনুভূতির ওপর চলে না। স্টক মার্কেট বলতে বোঝায়—শেয়ার বাজার। আর অ্যানালাইসিস বা বিশ্লেষণ বলতে বোঝায়—বাজারের পরিস্থিতি ও তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিচার করা।
তাহলে আমরা এখন কী করতে যাচ্ছি? স্টক মার্কেট অ্যানালাইসিস শুরু করার আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন—আমি কি পারব? আমার মধ্যে ধৈর্য আছে কি? নিয়ম মেনে কাজ করার ক্ষমতা আছে কি? আমি কি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি? কারণ স্টক মার্কেটে কাজ করতে গেলে যদি এই গুণগুলো না থাকে, তবে স্টক মার্কেট আপনার জন্য নয়।
আপনি যদি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর হ্যাঁ হয়, তবে লেখা পড়া চালিয়ে যান। আর যদি না হয়, তবে এখনই থামুন। কারণ আমরা ভারতের অর্থনীতি নিয়ে অ্যানালাইসিস করতে যাচ্ছি—জিডিপি রিপোর্ট, ইনফ্লেশন এবং স্টক মার্কেটের সঙ্গে সম্পর্ক।
স্টক মার্কেট অ্যানালাইসিস কেন করা হয়? বড় বড় ফিন্যান্সিয়াল বিশেষজ্ঞ, সরকার, যেসব মানুষ ট্রেডিং বা ইনভেস্টিং করে, তারা সবাই বিশ্লেষণ করে। টিভিতে বসে অনেক বিশ্লেষক স্টক রিকমেন্ডেশন দেন। কেন অ্যানালাইসিসকে এত গুরুত্ব দেওয়া হয়? কারণ এটি একমাত্র উপায় ভালো কোম্পানি চিহ্নিত করার বা ভালো ট্রেডিং সেটআপ নেওয়ার। এই কারণেই স্টক মার্কেট অ্যানালাইসিসকে এত গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সাধারণ মানুষ যারা এই অ্যানালাইসিস শেখে, তারা ভালো কোম্পানি বেছে নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি করে। সত্যিই বলতে গেলে, এটা এক ধৈর্যের ব্যাপার।
আপনি কি পারবেন? হ্যাঁ, পারবেন। শুধু আপনাকে শিখতে হবে—স্টক মার্কেটের সাইকোলজি এবং ডেটা অ্যানালাইসিস।
এটার পথ হলো: প্রথমে নিজেকে একটি রুট ম্যাপ তৈরি করতে হবে।
আমি যেভাবে চেষ্টা করেছি—ঠিক সেইভাবেই আপনিও শুরু করতে পারেন।
শেখার পদ্ধতি:
প্রথমে আপনাকে একটি রুটম্যাপ তৈরি করতে হবে। আমি যেভাবে চেষ্টা করেছি, ঠিক সেইভাবে শুরু করুন।
START
│
▼
[Step 1: কোম্পানির লিস্ট তৈরি]
- মোট কোম্পানি ≈ ৮০০০+
- কোম্পানির নাম, , সেক্টর ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ
│
▼
[Step 2: রেগুলেটরি বোডি ও এক্সচেঞ্জ চেক]
- SEBI (নিয়ম ও বিনিয়োগকারীর সুরক্ষা)
- NSE & BSE (স্টক প্রাইস, ভলিউম)
│
▼
[Step 3: ডেটা সংগ্রহ ও অ্যানালাইসিস]
- ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্ট: Income Statement, Balance Sheet, Cash Flow
- মার্কেট ডেটা: Stock Price, Volume, Trend
│
▼
[Step 4: ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস]
- Ratios: P/E, Debt-to-Equity, ROE, ROCE
- কোম্পানির শক্তি, দুর্বলতা, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
│
▼
[Step 5: সিদ্ধান্ত নেওয়া]
- ভালো কোম্পানি নির্বাচন
- ট্রেডিং / ইনভেস্টিং স্ট্র্যাটেজি তৈরি
│
▼
[Step 6: মনিটর ও আপডেট]
- নিয়মিত মার্কেট আপডেট চেক
- প্রয়োজনে অ্যানালাইসিস আপডেট
│
▼
END
এই বাজারে প্রবেশ করতে যা লাগে, তার জন্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী একটা ডিম্যাট আর ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। আমি অ্যাঞ্জেল ওয়ানে খুলেছিলাম। এটা খোলা মানে আপনি ভারতীয় অর্থনীতিতে পা রাখলেন। এর পর কী কী বিষয়ে আপনাকে জানতে হবে, সেটা আমি জেনেছিলাম।"
এই বাজারে আসতে হলে, সরকারি নিয়ম মেনে প্রথমেই একটা Demat আর Trading অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। আমি নিজে অ্যাঞ্জেল ওয়ানে খুলেছিলাম। একবার এটা খুলে ফেললে মানে আপনি ভারতীয় অর্থনীতির ভেতরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবেশ করলেন। এরপর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকে, যেগুলো সম্পর্কে আপনাকে জানা দরকার— আমি সেগুলোই জেনেছিলাম।
স্টক মার্কেট অ্যানালাইসিস এই পাঁচ জনের মুভমেন্টের ওপর নির্ভর করে,
স্টক মার্কেট ইনভেস্টর
│
├── প্রোমোটার (Promoter)
│ ├─ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা
│ ├─ মালিক পরিবার
│ └─ শেয়ার ধরে রাখা প্রধান স্টেকহোল্ডার
│
├── রিটেইল ইনভেস্টর (Retail Investors)
│ ├─ সাধারণ ব্যক্তি বিনিয়োগকারী
│ |
│ └─ নিজের নামে Demat অ্যাকাউন্ট
│
├── DII (Domestic Institutional Investors)
│ ├─ মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পানি
│ ├─ ব্যাংক
│ ├─ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি
│ └─ পেনশন ফান্ড
│
├── FII (Foreign Institutional Investors)
│ ├─ বিদেশি মিউচুয়াল ফান্ড
│ ├─ হেজ ফান্ড
│ ├─ ফরেন ব্যাংক
│ └─ গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি
│
└── ইনস্যুরেন্স কোম্পানি ( Investors)
├─ LIC
|
├─ SBI Life
└─ অন্যান্য লাইফ ও জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ফান্ড
এ ছাড়া আরও বেশ কিছু জিনিস আছে
NSE ডেটা
BSE ডেটা
ক্যান্ডেল স্টিক প্যাটার্ন
নিউজ
আর জানতে হয়েছে টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস আর ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস, যেটা আমি অ্যাঞ্জেল ওয়ানের ওয়েবসাইট থেকে পেয়েছি। আপনারা লগইন করলে দেখতে পাবেন, কিন্তু ব্রোকার যে ডেটা দেখায় সেটা কতটা সঠিক, সেটা বলতে পারব না। এরকম অনেক সাইট আছে যেমন Screener.in, Moneycontrol.com, Investing.com, IndiaMoney.in নানা রকম।
তাহলে স্টক মার্কেট অ্যানালাইসিস করতে গেলে আমাদের যেসব জিনিস জানতে হবে
NSE
BSE
রিটেইলার
প্রোমোটার
DII
FII
ইনস্যুরেন্স
ক্যান্ডেল স্টিক
নিউজ
ডেটা
FII/DII ডেটা
অপশন চেইন ডেটা
স্টক ডেটা
স্টক মার্কেট অ্যানালাইসিসের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়
│
├── মার্কেট প্ল্যাটফর্ম
│ ├─ NSE
│ └─ BSE
│
├── বিনিয়োগকারীর ধরন
│ ├─ রিটেইলার
│ ├─ প্রোমোটার
│ ├─ DII
│ ├─ FII
│ └─ ইনস্যুরেন্স
│
├── টেকনিক্যাল উপাদান
│ ├─ ক্যান্ডেল স্টিক
│ ├─ অপশন চেইন ডেটা
│ └─ স্টক ডেটা
│
├── ডেটা সম্পর্কিত বিষয়
│ ├─ সাধারণ ডেটা
│ └─ FII/DII ডেটা
│
└── ফান্ডামেন্টাল ও নিউজ
└─ নিউজ আপডেট
এইগুলোই আমাকে শিখতে হয়েছে এবং আমি যেভাবে শিখেছি সেভাবেই বলছি। আপনার যে ব্রোকার আছে, সেখানে আপনার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। দেখবেন, কোনো একটি স্টকে ক্লিক করলে Fundamental নামে একটি অপশন পাবেন। সেখানে ক্লিক করলে,
ছবিতে যেমন দেওয়া আছে ঠিক তেমন একটি প্যাটার্ন দেখতে পাবেন।
প্রোমোটার কে?
প্রোমোটার হলো সেই ব্যক্তি বা গ্রুপ যারা কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা বা মূল মালিক। তারা কোম্পানির কতটুকু শেয়ার ধরে রেখেছে সেটা প্রোমোটার হোল্ডিং বা পার্সেন্টেজ বলে। অর্থাৎ যত বেশি প্রোমোটারের শেয়ার থাকে, সাধারণত কোম্পানিটি তত বেশি শক্তিশালী ধরা হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো কোম্পানিতে প্রোমোটারের হোল্ডিং ৭০ থেকে ৮০% হয়, তাহলে তাকে সাধারণত একটি ভালো কোম্পানি ধরা যেতে পারে।
FII – Foreign Institutional Investor
যারা বিদেশ থেকে ভারতীয় স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করে, তাদেরকে FII বা ফরেন ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টর বলা হয়। সাধারণত তারা শক্তিশালী কোম্পানিতে বেশি বিনিয়োগ করে। আমি যতদূর দেখেছি, তারা যেসব কোম্পানিতে হোল্ডিং বাড়ায়, সেই সব কোম্পানির শেয়ারের দাম খুব দ্রুত বাড়ে।
DII – Domestic Institutional Investor
এরা আমাদের দেশের বড় বড় বিনিয়োগকারী, যাদের মধ্যে বড় বড় কোম্পানি থেকে শুরু করে ব্যাংক পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত।
*একটি জিনিস আমি ফলো করি, আপনরাও করতে পারেন। FII যখন বায় করে, তখন DII সাধারণত সেল করে, আর FII যখন সেল করে, তখন DII বায় করে। কোনো দিন আমি বেশি দেখিনি যে তারা দুজনই একসাথে বায় করছে।
রিটেইলার কে?
রিটেইলার হলো আমরা, যারা ছোটখাটো টাকা স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করি বা ট্রেডিং করি। বড় ব্যবসায়ীরা প্রায়ই এই রিটেইলারদেরকে টার্গেট করে। স্টক মার্কেটের বেয়ার শক্তিশালী কোম্পানির বড় শেয়ারহোল্ডাররা কখনও কখনও রিটেইলারদের বিনিয়োগ থেকে লাভ তুলে নেয়।
*একটা কথা মাথায় রাখবেন, বায়ারদের থেকে সেলাররা শক্তিশালী। এটা নিয়ম মেনে প্রমাণিত যে কম দামে সাধারণত বিক্রি হয় না এবং কম দামে কেনাও খুব কম হয়। তাই বেশির ভাগ রিটেইলারই মূলত বায়ার হয়, বিশেষ করে অপশন ট্রেডিং-এর ক্ষেত্রে।
শিখলাম কিভাবে NSE (National Stock Exchange) ওয়েবসাইট চেক করতে। ভাবছেন, এখানে কী পাবেন? অনেক কিছু! যেমন
Top Gainer (যে শেয়ারের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে)
Top Loser (যে শেয়ারের দাম সবচেয়ে বেশি কমেছে)
Option Chain Analysis Data (অপশন ট্রেডিংয়ে কল–পুট সম্পর্কিত ডেটা)
FII–DII Data (বিদেশি ও দেশি বড় বিনিয়োগকারীদের কেনা-বেচার তথ্য)
তারপর আমি BSE (Bombay Stock Exchange) সম্পর্কেও শিখলাম।
NSE আর BSE-তে একই শেয়ারের দাম সবসময় এক হয় না। পার্থক্য থাকে, যা একেবারেই স্বাভাবিক।
এখন আসি কিভাবে NSE ডেটা দেখবেন
প্রথমে NSE-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট খুলুন।
সেখানে Market Data নামে একটি অপশন পাবেন।
এখানে আপনি FII Data, DII Data, Option Chain Data ইত্যাদি পাবেন।
এই জিনিসগুলো আমি ধীরে ধীরে শিখেছি। আপনি চাইলে একদম শুরু থেকে প্র্যাকটিস করে এগুলো শিখে নিতে পারেন। ধৈর্য ধরুন, কয়েকদিনের মধ্যেই আপনিও বুঝে যাবেন কোন ডেটা কিভাবে কাজে লাগে।
কিভাবে চেক করবেন
প্রথমে গুগলে গিয়ে NSE ওয়েবসাইট খুলুন। তারপর মেনুতে ক্লিক করুন। এরপর Market Data নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন, সেখানে ক্লিক করুন। এরপর সেখানে একটি লিস্ট পাবেন, যেখানে একের পর এক কিছু লেখা দেখতে পাবেন। তার মধ্যে Top Gainer এবং Top Loser নামে লেখা পাবেন। সেখানে ক্লিক করলে আপনি ২০টি Top Gainer এবং ২০টি Top Loser কোম্পানির লিস্ট ও রিপোর্ট দেখতে পাবেন। এইগুলোর প্যারামিটার দেখে আপনি বুঝতে পারবেন কী হতে পারে।
FII মানে Foreign Institutional Investor।
আমাদের দেশের বাইরে থেকে যারা ইনভেস্ট করে, অর্থাৎ বিদেশিরা—যেমন আমেরিকা, জাপান, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি-এরা স্টক মার্কেটে একটি বড় পরিমাণ টাকা লেনদেন করে।
DII মানে হচ্ছে দেশের নিজস্ব বড় বড় ইনভেস্টর, যেমন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড, ব্যাংক ইত্যাদি। এরাও বড় অঙ্কের টাকা প্রতিদিন স্টক মার্কেটে লেনদেন করে।
একটা জিনিস মাথায় রাখবেন, যেটা আমরা ফলো করেছি-যদি DII কেনে, তাহলে FII বিক্রি করে। আর যদি FII কেনে, তাহলে DII বিক্রি করে। এদের মধ্যে একটা সামঞ্জস্য আছে।
FII ও DII ডেটা অ্যানালাইসিস করতে হয় ?
আমি যেভাবে করি—কারণ আমি যেটা দেখেছি, এই DII আর FII ডেটার উপর স্টক মার্কেটের একটা ট্রেন্ড বা মুভমেন্টের প্যারামিটার তৈরি হয়। সেটা প্রায় আমার কাজে লাগে।
কিভাবে দেখি আমি এই ডেটা? যেটা আপনারাও সহজে দেখতে পারবেন
NSE ওয়েবসাইট খুলুন, এখানে সঠিক ডেটা পাওয়া যায়। স্টক মার্কেট দুপুর ৩.৩০-এ বন্ধ হওয়ার পর, পরের দিন সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে NSE ওয়েবসাইটে পাবলিশ হয় এই ডেটা।
প্রথমে যেটা করি আমি NSE ওয়েবসাইট খুলে ডানপাশে Menu নামে একটা জায়গা পাই, সেখানে ক্লিক করুন। তারপর দেখবেন একটা লিস্ট পাবেন, যেখানে About, Market Data এরকম কিছু লেখা দেখতে পাবেন। লিস্টে Market Data-তে ক্লিক করুন।
তারপর দেখবেন তিনটে লিস্ট খুলছে Equity, Derivative, Debt & Fixed Income। আপনি Equity সেগমেন্টের একদম শেষের দিকে Position/Investment Limit নামে একটা অপশন লেখা দেখতে পাবেন, সেখানে ক্লিক করুন।
তারপর , FII/FPI & DII Trading Activity on NSE, BSE and MSEI on Capital Market Segment নামে একটা লেখা দেখতে পাবেন। তার নিচে দেখুন, Click Here নামে লেখা দেখাচ্ছে, সেখানে ক্লিক করুন। আপনার সামনে FII ও DII ডেটা চলে আসবে।
এবার এই ডেটা কিভাবে অ্যানালাইসিস করতে হয় যেটা আমি করার চেষ্টা করি।
FII কিনছে বেশি আর DII বিক্রি করছে কম, তার মানে মার্কেটে একটা প্যারামিটার তৈরি হলো Buy Trend এর, অর্থাৎ মার্কেট উপরে ওঠার একটা সম্ভাবনা রয়ে গেল।
কিন্তু একটা কথা মাথায় রাখবেন FII আর DII ডেটা বিশ্লেষণ করে বা এই ডেটার ওপর ভিত্তি করে আপনারা ট্রেড করবেন না। আমি করি না।
আরও অনেক কিছু আছে — Volume, Candle, Stick Pattern, Option Chain Data ইত্যাদি।
এবার আসি অপশন চেইন ডেটা কিভাবে দেখতে হয়।
অপশন ট্রেডিং-এর ডেটা দেখার আগে এটা একটু বুঝে নিন—অপশন হলো একটা কন্ট্র্যাক্ট। এখানে আমি যেটা দেখি তা হলো Strike Price, Last Trade Price, Bid Price, Ask Price আর Impact Volatility।
এবার এগুলো কি? এটা একটু বোঝার চেষ্টা করুন।
Strike Prices
অর্থাৎ যেদামে অপশনের কন্ট্র্যাক্ট নেওয়া হয়, যেমন-NIFTY 25000।
Last Trade Prices
অর্থাৎ একদম শেষে অপশনের দাম কত ছিল।
Bid Prices / Ask Prices
Bid Prices মানে হলো কত দামে কেনা হচ্ছে।
Ask Prices মানে হলো কত দামে বিক্রি হচ্ছে।
Open Interest
অর্থাৎ কত দামে অপশন এখন পাওয়া যাচ্ছে।
Volume
বর্তমানে কতটি অপশন ট্রেড হচ্ছে।
IV (Impact Volatility)
মানে অপশন ভবিষ্যতে কতটা বাড়তে পারে বা কমতে পারে।
এবার—NSE ওয়েবসাইট খুলুন, তারপর Menu- ক্লিক করুন। তারপর Market Data-তে ক্লিক করুন। এরপর চারটি সেগমেন্ট দেখবেন, আর সেখানে Derivatives নামে একটা লেখা পাবেন। তার নিচে Option Chain নামে একটা লেখা পাবেন, সেখানে ক্লিক করুন। আপনার সামনে অপশন ডেটার লিস্ট খুলবে, যেখানে চারটি বক্স দেখতে পাবেন।
[ View Option Contract ]
[ Steel Symbol ]
[ Expiry Date ]
[ Strike Prices ]
অপশন কন্ট্র্যাক্ট দেখার ধাপ (Info Stack Chart)
View Option Contract
যদি এই বক্সে ক্লিক করেন, দেখবেন—
NIFTYNXT50
FINNIFTY
BANKNIFTY
MID CAP NIFTY
এগুলোর মধ্যে আপনি যেটা নিয়ে কাজ করবেন, সেটা সিলেক্ট করে ডেটা দেখতে পারবেন।
Steel Symbol
এই বক্সে ক্লিক করলে আপনারা অপশন চেইন ডেটা চার্ট পেয়ে যাবেন।
Expiry Date
এই বক্সে ক্লিক করলে আপনারা কোন তারিখের কন্ট্র্যাক্ট বুক করেছেন সেটা পেয়ে যাবেন। যেমন আমি 28 Aug তারিখের কন্ট্র্যাক্ট নিয়েছি, তাহলে 28 Aug-এর কন্ট্র্যাক্ট রিপোর্ট পেয়ে গেছি।
Strike Prices
এখানে আপনি যে স্ট্রাইক-এ কন্ট্র্যাক্ট বুক করেছেন সেই স্ট্রাইক প্রাইসগুলো চলে আসবে।
এইগুলো দেখে আপনারা কিছুটা হলেও একটা প্যারামিটার তৈরি করতে পারবেন, যেমন আমি করার চেষ্টা করি।
(Open Interest) কত দামে যাচ্ছে।
Volume দেখে বুঝতে পারবেন দাম বাড়তে পারে না কমতে পারে।
(Implied Volatility) কতটা বাড়তে পারে, কতটা কমতে পারে।
Strike Prices বুঝবেন, কোথায় কত কন্ট্র্যাক্ট হয়েছে।
Bid Prices ও Ask Prices কারা কিনছে, কারা বিক্রি করছে।
ক্যান্ডেল স্টিক অ্যানালাইসিস
আমি যেভাবে ক্যান্ডেল স্টিক অ্যানালাইসিস করি, ঠিক সেইভাবেই বলছি।
যারা নতুন, চিন্তা করোনা—আমি শুরু থেকেই বলার চেষ্টা করছি।
স্টক মার্কেটে দুটি ক্যান্ডেল হয়—একটা গ্রীন, যার নাম Buyer, আর একটা রেড, যার নাম Seller।
আর ইতিহাসে একে Bull, Bear বলে থাকে।
ক্যান্ডেল একটা টাইম ফ্রেমে হয়, যেমন 1 মিনিট থেকে শুরু করে 5, 10, 15, 20, 30 এরকম লং টাইম পর্যন্ত।
এই ক্যান্ডেলগুলোতে কি হয়? Buyer আর Seller এর কেনা-বেচা হয়।
ধরুন, আপনি একটা 15 মিনিট ক্যান্ডেলের টাইম ফ্রেমে কাজ করছেন তাহলে একটা ক্যান্ডেল যেটা তৈরি হলো, সেটা 15 মিনিটের একটাই ক্যান্ডেল। আবার 15 মিনিট পরে আবার একটা নতুন ক্যান্ডেল তৈরি হবে।
এইভাবে মার্কেট 9.30 থেকে 3.30 পর্যন্ত ক্যান্ডেল তৈরি হতে থাকবে।
এবার আপনাকে বুঝতে হবে, প্রতি 15 মিনিট অন্তর একটা নতুন ক্যান্ডেল তৈরি হচ্ছে—সেটা কারা বেশি তৈরি করছে, Buyer না Seller, অর্থাৎ Green না Red।
এদের কেনা-বেচার লড়াই দেখে আপনি মার্কেটের Demand আর Supply বুঝতে পারবেন, এবং সেই অনুযায়ী আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি Buy করবেন না Sell করবেন।
সহজ উদাহরণ: ভাবুন আপনি একটা দোকানের বিক্রির হিসাব রাখছেন।
প্রতি 15 মিনিটে আপনি দেখছেন সবুজ কলমে লেখা মানে বেশি পণ্য বিক্রি হয়েছে (Buyer), আর লাল কলমে লেখা মানে পণ্য কম বিক্রি হয়েছে বা ফেরত গেছে (Seller)।
দিনের শেষে কোন রঙ বেশি তা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন বাজারে চাহিদা বেশি নাকি সরবরাহ।
এই ছবিটা দেখুন…
খবর
খবর শেয়ার বাজারের উপর বেশ কিছুটা প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে। কিন্তু ইনভেস্টিংয়ে এর প্রভাব খুব বেশি পড়ে না। কারণ, আপনি যদি কোনো ভালো ও শক্তিশালী ফান্ডামেন্টাল কোম্পানি বেছে নেন, তাহলে লং টার্মে লাভ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
ডে ট্রেডিংয়ের জন্য খবর অনেক সময় ম্যানিপুলেশন হিসেবেও কাজ করে। তাই কিছু করার আগে আপনি যে সেটআপ তৈরি করবেন, সেটাতেই অনুশীলন করাই আপনার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
তবে কিছু আসল ও গুরুত্বপূর্ণ খবর অবশ্যই ফলো করা দরকার—যেমন নির্বাচন সংক্রান্ত খবর, বড় কোনো যুদ্ধ, বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবর। এগুলো বাজারে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এর বাইরে অযথা খবরের দিকে মন না দেওয়াই ভালো।
বরং আপনার নজর রাখা উচিত কোম্পানির কোয়ার্টারলি রেজাল্ট ও আইপিও সংক্রান্ত আপডেটে। এগুলো নিয়মিত ট্র্যাক করে আপনি স্বাভাবিকভাবে বিশ্লেষণ করতে পারবেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি দেখেছি, শুধু খবরের ওপর নির্ভর করে ট্রেড করলে বাজারে ধারাবাহিক সাফল্য আসে না, তাই আমি খবরের প্রভাবের দিকে তেমন গুরুত্ব দিই না।